বিশেষ অ্যাট্রিবিউট

আর্থ স্টুডিও-তে বেশিরভাগ অ্যানিমেশনের কাজ ক্যামেরা পোজিশন এবং ক্যামেরা রোটেশন অ্যাট্রিবিউটের মাধ্যমে করা যায়। অতিরিক্ত অ্যাট্রিবিউট আপনাকে আর্থের চেহারা উপর আরো সৃজনশীল কন্ট্রোল দেয়।

অ্যাট্রিবিউট যোগ করা / সরানো

অ্যাট্রিবিউটের তালিকায় অ্যাট্রিবিউট যোগ করতে বা সরাতে অ্যাট্রিবিউট যোগ করুন মেনুতে যান। যেটি চালু করে টাইমলাইনে দেখতে চান সেটিতে টিক চিহ্ন দিন, তাহলেই সেটি কীফ্রেম এবং অ্যানিমেট করা যাবে।

কোনও অ্যাট্রিবিউট থেকে টিক চিহ্ন তুলে নিলে সেটি টাইমলাইন থেকে চলে যাবে এবং ডিফল্ট মানে ফিরে যাবে। তবে "মুছে যাওয়া" কীফ্রেমগুলি সেভ করা হবে এবং সেই দৃশ্যে অ্যাট্রিবিউটটি আবার যোগ করা হলে কীফ্রেমগুলি আবার দেখা যাবে।

ক্যামেরা টার্গেট

ক্যামেরা টার্গেট অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করলে সেই দৃশ্যে "তাকিয়ে থাকার" মতো একটি পয়েন্ট তৈরি করা হয়। ক্যামেরা রোটেশনের যে মানগুলি সেট করা আছে সেগুলি ওভাররাইড করা হয় যাতে ক্যামেরা সব সময় সরাসরি টার্গেটের দিকে মুখ করে থাকে।

আরও জানতে ক্যামেরা টার্গেট দেখুন।

ফিল্ড অফ ভিউ

গ্লোবের কতখানি অংশ ফ্রেমে দেখা যাবে, তা ফিল্ড অফ ভিউ অ্যাট্রিবিউটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই মানটি পরিবর্তন করলে ক্যামেরা লেন্সের ফোকাল লেন্থ পরিবর্তনের মতো একই কাজ হয়।

ফিল্ড অফ ভিউয়ের মান পরিবর্তন করে ডিফল্ট ২০° থেকে ৫° (জুম বাড়ানো) এবং ৬০° (জুম কমানো) করা

আর্থ স্টুডিও-তে ফিল্ড অফ ভিউইয়ের মান যেকোনও কোণ বা অ্যাঙ্গেলের মতো ডিগ্রিতে মাপা হয়। অ্যাঙ্গেলের মান বেশি হলে গ্লোবের বেশি অংশ দেখা যায় (ওয়াইড-অ্যাঙ্গেল লেন্সের মতো)। মান কম হলে ছোট জায়গার দৃশ্য দেখা যায় (টেলিফটো লেন্সের মতো)।

দিনের কোন সময়

দিনের কোন সময় হল একটি শক্তিশালী সিনেম্যাটিক এফেক্ট। এটি চালু করলে সূর্য্যের অবস্থান অনুযায়ী লাইটিং, নক্ষত্র এবং বায়ুমণ্ডলের খুঁটিনাটি আর্থ স্টুডিও-তে অটোমেটিক তৈরি করা হয়। এগুলি তারিখ এবং সময়ের (জিএমটি) মান অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

লাইটিং

আর্থ স্টুডিয় আপনার লোকেশন এবং সেখানকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী দিন, রাত, ঊষা অথবা গোধূলির মতো আলো সেট করে দেবে। উঁচু জায়গার বা উঁচু থেকে তোলা ছবি দেখানোর সময় রাতের দৃশ্য এবং নিচে শহরের আলো দেখানোর ব্যবস্থাও আছে। এই টেক্সচারটি ৮,০০০ কিমি থেকে ৩,০০০ কিমি দূরত্বের মধ্যে ঝাপসা হয়ে মিলিয়ে যায়।

3D বৈশিষ্ট্যের টেক্সচারের উপরে কোন দিক থেকে কীভাবে আলো পড়ছে, সেই অনুযায়ী উপযুক্ত শেড যোগ করা হয়। আকাশে মেঘ থাকলে মাটিতে ছায়া ফেলার সুবিধাটিও আছে।

নক্ষত্র

নক্ষত্র সংক্রান্ত ডেটা ইউরোপিয়ান সাদার্ন অবজারভেটরি থেকে নেওয়া হয় এবং নক্ষত্রের ছবিগুলি সেট করা তারিখ এবং সময় অনুযায়ী সঠিকভাবে দেখানো হয়। এই ডেটা কতখানি নিখুঁত তা বিশ্বাস করা কঠিন। সমস্ত মহাজাগতিক বস্তুর অবস্থান একেবারে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়; এমনকি বাস্তবে সূর্য্য গ্রহণ হলে তা আর্থ স্টুডিওতে ঠিক সেই সময়েই দেখা যায়। (বিশ্বাস করছেন না? তাহলে ২১/০৮/২০১৭ তারিখের ১৮:২৭ জিএমটি সময়ে আমেরিকার আকাশের দৃশ্য দেখুন)

বায়ুমণ্ডলের অবস্থা

দিনের কোন সময় চালু করা থাকলে আর্থ স্টুডিয়ো আলো বাতাসের বিভিন্ন অবস্থা নিখুঁতভাবে তুলে ধরে। ঊষা এবং গোধূলি, এই দুই সময়ের দৃশ্য বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।

বাস্তবে যেমন হয়, ঠিক সেইভাবে বায়ুমণ্ডলের উপরে আবহাওয়ার প্রভাবও এখানে দেখানো যায়। তাই আপনার লোকেশনে যদি মেঘ থাকে অথবা বৃষ্টি পড়ে তাহলে দৃশ্যটিও নীলচে এবং অনুজ্জ্বল মনে হবে।

নীল আকাশ বনাম মেঘলা আকাশ

দিনের একই সময়ে নীল আকাশ এবং মেঘলা আকাশের তুলনা। আকাশ মেঘলা হলে সমগ্র বায়ুমণ্ডলে একটি নীলচে আভা থাকে।

মেঘ

আর্থ স্টুডিয়ো ডিফল্ট হিসেবে মেঘের পরিস্থিতি রেন্ডার করে নেয়। প্রতিদিন একাধিকবার NOAA থেকে মেঘ সংক্রান্ত ডেটা নেওয়া হয়, তাই এই মুহূর্তে সারা পৃথিবীতে আবহাওয়ার কী অবস্থা তা আপনি দেখতে পাবেন।

দিনের কোন সময় বন্ধ করা থাকলে ২০,০০০ কিমি দূরত্বে মেঘের ছবি ঝাপসা হতে শুরু করে। ৮,০০০ কিমির নিচে মেঘ রেন্ডার করা হয় না।

কিছু ক্ষেত্রে কোনও উচ্চতাতেই মেঘ না দেখাতে পারলে ভাল হয়, বিশেষ করে যদি মেঘের জন্য আপনার সাবজেক্ট ঢাকা পড়ে যায় অথবা দিনের কোন সময় চালু থাকা অবস্থায় যদি বায়ুমণ্ডলের অবস্থা খুবই ঘোলাটে বা অনুজ্জ্বল দেখায়। মেঘ অ্যাট্রিবিউটের সাহায্যে আপনি প্রয়োজন মতো মেঘের ছবি চালু অথবা বন্ধ করতে পারেন।

ওশ্যান ওভারলে

সমুদ্রের দৃশ্য রেন্ডার করার সময় আর্থ স্টুডিও ডিফল্ট হিসেবে সমুদ্রের তলদেশের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য দেখায়। সমুদ্র পৃষ্ঠের ছবিতে তলদেশের দৃশ্য দেখতে না চাইলে ওশ্যান ওভারলে অ্যাট্রিবিউটটিকে চালু করুন। দিনের কোন সময় চালু থাকা অবস্থায় ওশ্যান ওভারলে ব্যবহার করলে জলে সূর্য্যের প্রতিফলন দেখা যাবে; এটি একটি অসাধারণ এফেক্ট।

ওশ্যান ওভারলে চালু এবং বন্ধ

ওশ্যান ওভারলে বন্ধ বনাম চালু

ক্যামেরার অ্যাঙ্গেল অনুযায়ী, ৬৩০ কিমি এবং ৪০০ কিমি দূরত্বের মধ্যে ওশ্যান ওভারলে এফেক্টটি ঝাপসা হতে হতে মিলিয়ে যাবে এবং সমুদ্রের তলদেশের দৃশ্য আবার সম্পূর্ণ দেখা যাবে।